এ সময় মামুনুল হক দাবি করেন, সঙ্গে থাকা নারীর নাম আমিনা তৈয়বা। তিনি মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী। আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি।
রিসোর্টের খাতায় গেস্টের নামের স্থানে লেখা রয়েছে মো. মামুনুল হক ও আমিনা তৈয়বা। রুম নং ৫০১। এ সময় রিসোর্টে প্যাকেজ নেন উন্টার। রুম ভাড়া ৫ হাজার এবং খাবার খরচ ৩ হাজার টাকা। এছাড়াও মামুনুল হকের এনআইডি কার্ডের কপিও পাওয়া যায়। রিসোর্টে প্রবেশের সময় লেখা হয় দুপুর ৩টা।
এদিকে অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত হয়ে তিনি ফেসবুক লাইভে আসেন। এ সময় মামুনুল বলেন, অনেকের মধ্যে আজকের ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেক বিভ্রান্তিও হচ্ছে। মূলত আসল ঘটনা জানাতেই আমি ফেসবুক লাইভে এসেছি। আমার সাথে আমার বড় ভাই ও মেজ ভাইও আছেন।
মামুনুল হক আরও বলেন, টানা পরিশ্রমের কারণে আমার একটু বিশ্রামের প্রয়োজন ছিল। এ কারণে আজ সেখানে গিয়েছিলাম। সাথে আমার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিল। পুলিশ আমার থেকে যাবতীয় তথ্য নিয়ে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। আমার দ্বিতীয় স্ত্রী আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাবেক স্ত্রী ছিলেন। তাদের দুটি সন্তানও আছে। এরপর পারিবারিকভাবে আমি তাকে বিয়ে করি।
তিনি বলেন, সেখানে স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মীদের সাথে কিছু যুবলীগ ও সরকারদলীয় লোক আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। তারা লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে হামলা ও আক্রমণ করেছেন। দেশের মানুষ আমার বক্তব্য সেখানেও শুনেছে ও দেখেছে। এরপর সেসব ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ওই রিসোর্টে এসে আমাকে উদ্ধার করে। তারা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। আমি জনতাকে শান্ত করি ও তাদের নিয়ে উক্ত স্থান ত্যাগ করি। আমি আহ্বান করব এই বিষয় নিয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। সবাই শান্ত থাকুন। জানমালের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করবেন না। এটাই আমার অফিসিয়াল বক্তব্য।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।